Wednesday, November 23, 2016

এই শীতে হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর আর বাইক্কার বিলে

Posted By: I will photoshop editing,image manipulation and best image retouching quality service - 6:06 AM
উপরে নীল আকাশ, চারদিকে শান্ত জলরাশি। স্বচ্ছ নদীমাতৃক বাংলাদেশের অপরূপ প্রতিচ্ছবি। নৌকা নিয়ে গোটা বিল চষে বেড়ানো, পাশেই উড়ন্ত বড় বকের ঝাঁক, নিচে বসা কালো লেজ জৌরালি ও দাগিলেজ জৌরালির ঝাঁক। চারপাশ জুড়ে চেনা-অচেনা পাখিদের মিলন মেলা শীতের ভ্রমণের অন্যতম এক আকর্ষণ। শীতের সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে উড়ে আসা পাখিদের কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে আমাদের দেশের এসব হাওর অঞ্চল। শীতের সময়ে এসব হাওরের রূপ-বৈচিত্র্য দেখার জন্য ঘুরে আসতে পারেন।

এশিয়ার বৃহৎ হাকালুকি হাওর (Hakaluki Haor) বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহৎ মিঠা পানির জলাভূমি। পশ্চিমে ভাটেরা পাহাড় ও পূর্বে পাথারিয়া মাধব পাহাড় পবষ্টিত হাকালুকি হাওর সিলেট (Sylhet) ও মৌলভীবাজার (Moulvibazar) জেলার ৫ টি উপজেলায় বিস্তৃত। ছোট বড় প্রায় ২৩৮টির ও বেশী বিল ও ছোট বড় ১০টি নদী নিয়ে গঠিত হাকালুকি হাওর বর্ষাকালে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর এলাকায় পরিণত হয়।
বর্ষাকালে বিস্তৃত জলরাশি এ হাওরের রূপ ঠিক যেন ভাসমান সাগর। আদিগন্তু বিস্তৃত জলরাশি। জলের মাঝে মাঝে দুই-একটি বর্ষীয়ান হিজল, তমাল বৃক্ষ। অথচ শীতকালে বিস্তৃত এই হাওর ধু-ধু সবুজপ্রান্তর, কোথাও বা ধান ক্ষেত এবং খানাখন্দ নিচু ভূমিতে প্রায় ২৩৮টি বিলের সমষ্টি। হাকালুকি হাওর মাছের জন্য প্রসিদ্ধ। হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের সংরক্ষিত জলাভূমি। শীত মৌসুমে এশিয়ার উত্তরাংশের সাইবেরিয়া থেকে প্রায় ২৫ প্রজাতির হাঁস এবং জলচর নানা পাখি পরিযায়ী হয়ে আসে। এছাড়া স্থানীয় প্রায় ১০০ প্রজাতির পাখি সারাবছর এখানে দেখা মেলে। ধু-ধু প্রান্তরের এই চারণভূমি ও বিলগুলো মানুষের জীবন-জীবিকা এবং পরিযায়ী পাখির কলকাকলি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটককে দুর্বার আকর্ষণে রোমাঞ্চের হাতছানি দেয়। হাকালুকি হাওরে পরিযায়ী হাঁসের মধ্যে চখাচখী, রাজসরালী, গরাদমাথা রাজহাঁস, ধলাবেলে হাঁস, গাডওয়াল, ইউরেসীয় সিথীহাঁস, টিকিহাঁস, পাতিহাঁস ম্যার্গেঞ্জার প্রভৃতির দেখা মেলে। দেশি প্রজাতির মধ্যে বেগুনি কালেম, পানমুরসী, পাতিকুট, ডাহুক, ইউরেশীয় মুরগি চ্যাগা, ল্যাঞ্জা চ্যাগা, রাঙ্গাচ্যাগা, জলাপিপি, ময়ূরলেজা পিপি, পাতি জিরিয়া,  হাট্টিটি, ভূবনচিল, শঙ্খচিল, বিলুপ্ত প্রায় কুড়াল ঈগল, বড়খোঁপা ডুবুরি, ছোট পানকৌড়ি, খয়রা বক, ধূসর বক, শামুক খোল প্রভৃতি পাখি অন্যতম। হাকালুকি হাওরে অনেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। চিতল, আইড়, বাউশ, পাবদা, মাগুর, শিং, কৈ প্রভৃতি মাছ এখানে রয়েছে। জলজ উদ্ভিদের মধ্যে বিলুপ্ত প্রায় মাকনা হাওর অঞ্চলের পুটি, হিঙ্গাজুর, হাওয়া প্রভৃতি বিলে যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান। এছাড়া শাপলা, শালুক, পদ্ম প্রভৃতি জলজ উদ্ভিদ ও আশাব্যঞ্জকহারে এখানে রয়েছে।
কিভাবে যাবেন ?
ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে সরাসরি সিলেটে যেতে হবে। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদ থেকে বিভিন্ন পরিবহন পেয়ে যাবেন। ভাড়া পড়বে ৩৫০-৫০০ টাকা। এ ছাড়া কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ও বুধবার ছাড়া প্রতিদিনই পেয়ে যাবেন পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও উপবন এক্সপ্রেস। ভাড়া ১৫০-৭০০ টাকা। সিলেট শহর থেকে যে কোনো স্থানেই ভ্রমণের জন্য বাস, সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা পেয়ে যাবেন।

এই শীতে হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর আর বাইক্কার বিলে

উপরে নীল আকাশ, চারদিকে শান্ত জলরাশি। স্বচ্ছ নদীমাতৃক বাংলাদেশের অপরূপ প্রতিচ্ছবি। নৌকা নিয়ে গোটা বিল চষে বেড়ানো, পাশেই উড়ন্ত বড় বকের ঝাঁক, নিচে বসা কালো লেজ জৌরালি ও দাগিলেজ জৌরালির ঝাঁক। চারপাশ জুড়ে চেনা-অচেনা পাখিদের মিলন মেলা শীতের ভ্রমণের অন্যতম এক আকর্ষণ। শীতের সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে উড়ে আসা পাখিদের কলতানে মুখরিত হয়ে থাকে আমাদের দেশের এসব হাওর অঞ্চল। শীতের সময়ে এসব হাওরের রূপ-বৈচিত্র্য দেখার জন্য ঘুরে আসতে পারেন।
কিভাবে যাবেন ?
ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে সরাসরি সিলেটে যেতে হবে। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদ থেকে বিভিন্ন পরিবহন পেয়ে যাবেন। ভাড়া পড়বে ৩৫০-৫০০ টাকা। এ ছাড়া কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ও বুধবার ছাড়া প্রতিদিনই পেয়ে যাবেন পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও উপবন এক্সপ্রেস। ভাড়া ১৫০-৭০০ টাকা। সিলেট শহর থেকে যে কোনো স্থানেই ভ্রমণের জন্য বাস, সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা পেয়ে যাবেন।



কোথায় থাকবেন ?
এসব হাওরের আশপাশে থাকার জন্য তেমন কোনো ভালো ব্যবস্থা নেই। সারা দিন বেড়ানোর পর সিলেটের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল শহরসহ আশপাশে অনেক হোটেল-মোটেল বা রিসোর্ট পাবেন। এসব হোটেল-রিসোর্টে ৫০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় রুম পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহৎ মিঠাপানির জলাভূমি। পশ্চিমে ভাটেরা পাহাড় ও পূর্বে পাথারিয়া মাধব পাহাড় বেষ্টিত হাকালুকি হাওর সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিস্তৃত। ছোট-বড় প্রায় ২৩৮টিরও বেশি বিল ও ছোট-বড় ১০টি নদী নিয়ে গঠিত হাকালুকি হাওর বর্ষাকালে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর এলাকায় পরিণত হয়। থই থই জল আর হিজল বনের রূপকথার গন্ধ মিলবে হাকালুকিতে। ঘন কুয়াশার সকাল, তপ্ত দুপুর আর লাল গোধূলি এখন এই অপরূপের দেশে। ধানের ক্ষেত হাওয়ায় দোলে, জলাশয়ে ছোট্ট ডিঙি, রাখালের গরুর পাল নিয়ে হেঁটে চলা এ যেন সেই বাংলা, যা হারিয়ে যেতে বসেছে।
হাকালুকি হাওরে রয়েছে ২৭৬টির মতো ছোট-বড় গভীর-অগভীর বিল। কোন দিকে যে তার শেষ, হদিস করা যায় না। মাঝেমধ্যে সদ্য যৌবন পাওয়া হিজল বন। শিয়াল আর মেছো বিড়ালের বাড়ি এখানে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে হাকালুকি বিখ্যাত পাখির জন্য। বিশেষ করে শীতের পাখি।
হাকালুকি হাওরকে জীববৈচিত্র্যের ভাণ্ডারও বলা যায়। বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী পাওয়া যায় এই হাওরে। হাওরে ৫২৬ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১১২ প্রজাতির অতিথি পাখি, ৩০৫ প্রজাতির দেশীয় পাখি, ১৪১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও ১০৭ প্রজাতির মাছের দেখা মিলবে। হাওয়াবন্যা ছাড়াও হাওরখাল বিল ও পিংলা বিলে হাজার হাজার পাখির দেখা মিলবে।
সবচেয়ে বেশি হাঁস দেখা যায় হাওরখাল বিলে। একসাথে এত হাঁস বসে থাকে যে টেলিস্কোপ লাগিয়েও গোনা যায় না। এগুলোর মধ্যে উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস, উত্তুরে খুন্তেহাঁস, গাডওয়াল হাঁস, খয়রা চকাচকি, পাতি চকাচকি, ফালকেট হাঁস, গিরিয়া হাঁস ও টিকি হাঁস অন্যতম।
মেঘালয়ের সুবিশাল ও বিস্তৃত পাহাড়ের হাজারো ছড়া ও বেশ কিছু ঝরনা হলো টাঙ্গুয়ার হাওরের পানির উৎস। শীতকালে এই হাওরে অনেক কান্দা বা পাড় জেগে ওঠে। পুরো হাওর অনেক বিলে ভাগ হয়ে যায়। তবে বর্ষাকালে এই হাওর যেন এক বিশাল সমুদ্র। আর সেই সমুদ্রের উত্তর পারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়।





About I will photoshop editing,image manipulation and best image retouching quality service

Organic Theme is officially developed by Templatezy Team. We published High quality Blogger Templates with Awesome Design for blogspot lovers.The very first Blogger Templates Company where you will find Responsive Design Templates.

1 comments:

Copyright © 2015 Tourist Spots of Bangladesh || Blog for visiting, Traveling bangladesh

Designed by Templatezy | Distributed By Blogger Templates